ওষুধের দোকান বা ফার্মেসী খুলে বৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করতে চাইলে ড্রাগ লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর-এর কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হয়। চলুন জেনে নিই কি কি কাগজপত্র আপনাকে জমা দিতে হবে সে সম্পর্কে।
১. ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদপত্র।
২. লাইসেন্স ফি জমা দেয়ার ট্রেজারী চালান। ১৫% ভ্যাট সহ।
৩. দোকান ভাড়ার রসিদ বা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। নিজস্ব দোকান হলে দলিলের ফটোকপি/সর্বশেষ মাসের বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
৪. ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারপত্র (মূলকপি)।
৫. ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
৬. মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৭. ফার্মাসিস্ট-এর রেজিস্ট্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
৮. পূরণকৃত ফরম-৭
৯. TIN সার্টিফিকেট এর কপি
১০. মালিকের ছবি
১১. দোকানের ছবি
১২০ বর্গফুট এর ফার্মেসি তে একজন বি-গ্রেড অথবা একজন সি-গ্রেড রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে।
৩০০ বর্গফুট এর ফার্মেসি তে একজন এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট এবং একজন বি-গ্রেড অথবা একজন সি-গ্রেড রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে।
বর্তমানে, মডেল ফার্মেসী’র জন্য ৩০০ স্কয়ার ফিট জায়গা (উপরে ঢালাই ছাদ থাকতে হবে), শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে, একজন এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে।
মেডিসিন শপ এর জন্য ১২০ স্কয়ার ফিট জায়গা (উপরে ঢালাই ছাদ/ফলস ছাদ), রেফ্রিজারেটর, একজন বি-গ্রেড/সি-গ্রেড ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে।
দোকানের ছবি তুলে ড্রাগ লাইসেন্স-এর আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
ফার্মাসিস্টের সনদের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে আপনাকে তিন মাস মেয়াদী একটি কোর্স করতে হবে। এই কোর্স পরিচালিত হয় বিভিন্ন জেলার কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মাধ্যমে। প্রতি তিন মাস পর পর ঔষধ প্রশাসনের সভা হয়, যেখানে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
লাইসেন্স ফি ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। পৌর এলাকার জন্য এই ফি ২,৫০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে ১,৫০০ টাকা। ট্রেজারী চালানের কোড: ১-২৭১৫-০০০০-১৮৬৩ দুই বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। পৌর এলাকার জন্য নবায়ন ফি ১৮০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে এটি ৭০০ টাকা।
*সকল ফি এর উপর ১৫% ভ্যাট দিতে হবে, ভ্যাট এর পুরাতন চালান কোড: ১-১১৩৩-০০১৫-০৩১১
নতুন নিয়মে ১৫% ভ্যাট শুধুমাত্র অনলাইন এ https://ibas.finance.gov.bd/acs/general/sales#/home/dashboard লিংক এ ক্লিক করে “দেশজ পণ্য ও সেবার উপর মূসক” হিসেবে “প্রধান কার্যালয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর” এর নিজস্ব ভ্যাট সার্কেল “শুল্ক, আবগারী ও ভ্যাট কমিশনারেট (উত্তর)” বাছাই করতে হবে।
নতুন লাইসেন্স নিতে হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে যাচাই বাছাইয়ের জন্য। আর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবস অপেক্ষা করতে হয়।
এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য আপনি যোগাযোগ করতে পারেন: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ঔষধ ভবন, মহাখালী, ঢাকা-১২১২।
সূত্র: মোঃ মেহেদী হাসান
ফার্মাসিউটিক্যালস রেগুলেটরি কনসালটেন্ট, ফার্মা ডি.আর.এ.
www.pharmadra.net